মাগুরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছাদে বিশাল বাগানসহ লাইব্রেরী স্থাপন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। ১১ হাজার ৯৪ স্কয়ার ফিটের উপর দেশি-বিদেশি বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রজাতিসহ লাগানো হয়েছে ৪০৩ টি প্রজাতির ৬৫০ টি গাছ। এসব গাছ দেখতে ও বই পড়তে প্রতিদিন বাগানটিতে ভিড় করছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রী অভিভাবক ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। সবুজায়নের এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনে মুগ্ধতার প্রকাশ করছেন সবাই ।
চারদিকে ফুল ফলের চমৎকার বৃক্ষরাজীর প্রাচুর্যে গান তো এমনিতেই গেয়ে ওঠে যে কেউ । যেকোনো বৃক্ষ প্রেমী অনায়াসে কবিতার পংতি মালায় প্রকাশ করবেন মুগ্ধতা। (কবিতা) মাগুরা কালেক্টরেট ভবনের তৃতীয়তলার ছাদে বিশাল এলাকায় এ যেন এক গাছ জাদুঘর। বিভিন্ন প্রজাতির পরিচিত গাছের পাশাপাশি এখানে রয়েছে অসংখ্য বিলুপ্তপ্রায় গাছের সমাহার। যা দেখে দর্শকরা প্রকাশ করেন বিমুগ্ধ প্রতিক্রিয়া।
গাছের এ বিশাল সংগ্রহশালার পাশাপাশি এখানে স্থাপন করা হয়েছে চমৎকার লাইব্রেরি। গাছ দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেলে লাইব্রেরীতে বসে দুদন্ড পড়াশুনার পাশাপাশি বিশ্রাম নিতে পারবেন দর্শণার্থীরা। প্রতিটি গাছের সাথে দেয়া হয়েছে গাছ পরিচিতি। কিউ আর কোড স্ক্যান করলে যে কেউ মোবাইলের মাধ্যমেই পেয়ে যাবেন ওই গাছের পরিপূর্ণ বৃত্তান্ত। এ যেন প্রকৃতির সঙ্গে প্রযুক্তির এক অনন্য মেলবন্ধন।
১ ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা রাখা যাবে না, প্রধানমন্ত্রীর এমন অনুশাসনে সাড়া দিয়েই সবুজকে ভালোবেসে বিশাল এ ছাদবাগান স্থাপনের কথা জানালে মাগুরার জেলা প্রশাসক। যা অন্যেদের মধ্যে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।
বিশ্বকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে যেতে বর্তমান প্রজন্মের কাছে সবুজায়নের বিকল্প কিছুই নেই। সে কারণেই দেশের মধ্যে অন্যতম মাগুরা কালেক্টরেট ভবনের এ বিশাল ছাদ বাগানটি ইতিমধ্যে হয়ে উঠেছে একটি অনন্য উদাহরণ।
You cannot copy content of this page