শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাগুরায় মসলা গবেষণা ইনস্টিটিউটে মসলা ও ডাল ফসলের দিনব্যাপী কর্মশালা আজ ৭ ডিসেম্বর, মাগুরা মুক্ত দিবস পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ছিল একটি ষড়যন্ত্র,চাকরিচ্যুতদের মাগুরায় মানববন্ধন মাগুরা জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের নির্বাহী কমিটি গঠন; আরও ভালো কাজ করার প্রত্যয় মধ্যরাতে আড়পাড়া মহাসড়কে সেনাবাহিনী,পুলিশ ও আনসারের তল্লাশি মাগুরায় দীর্ঘ ১৬ বছর পর ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন মাগুরা জেলার স্থবির ক্রীড়াঙ্গনকে গতিশীল করতে  করণীয় শির্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে গণমাধ্যম: সাংবাদিক মুক্তাদির রশিদ শ্রীপুর উপজেলা রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এর বার্ষিক শ্রমিক সমাবেশ ২০২৪ অনুষ্ঠিত মাগুরায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরীর পূজা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন

ভালবাসা দিবসের ইতিহাস কি! জেনে নিন

অনলাইন ডেস্ক,মাগুরা টিভি:

ভালোবাসা দিবস কবে থেকে, কেন পালন করা হয়? জেনে নিন, ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস :-

২৭০ খ্রিষ্টাব্দের কথা। তখন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস নারী-পুরুষের বিবাহ বাধনে আবদ্ধ হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। তার ধারণা ছিল, বিবাহ বাধনে আবদ্ধ হলে যুদ্ধের প্রতি পুরুষদের অনীহা সৃষ্টি হয়। সে সময় রোমের খ্রিষ্টান গির্জার পুরোহিত ‘ভ্যালেন্টাইন’ রাজার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে গোপনে নারী-পুরুষের বিবাহ বাধনের কাজ সম্পন্ন করতেন।


এ ঘটনা উদ্ঘাটিত হওয়ার পর তাকে রাজার কাছে ধরে নিয়ে আসা হয়। ভ্যালেন্টাইন রাজাকে জানালেন, খিষ্টধর্মে বিশ্বাসের কারণে তিনি কাউকে বিবাহ বাধনে আবদ্ধ হতে বারণ করতে পারেন না। রাজা তখন তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। কারাগারে থাকা অবস্খায় রাজা তাকে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মে ফিরে আসার প্রস্তাব দেন এবং বিনিময়ে তাকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা বলেন।

উল্লেখ্য, রাজা দ্বিতীয় ক্লডিয়াস প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মে বিশ্বাস করতেন এবং তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যে এ ধর্মের প্রাধান্য ছিল। যা হোক, ভ্যালেন্টাইন রাজার প্রস্তাব মানতে অস্বীকৃতি জানালেন এবং খ্রিষ্ট ধর্মের প্রতি অনুগত থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন।

তখন রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন। অত:পর রাজার নির্দেশে ২৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। পরে রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিষ্ট ধর্মের প্রাধান্য সৃষ্টি হলে গির্জা ভ্যালেন্টাইনকে Saint’ হিসেবে ঘোষণা করে। ৩৫০ সালে রোমের যে স্খানে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল সেখানে তার স্মরণে একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়।

অবশেষে ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু পোপ গ্লসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে `Saint Valentine Day’ হিসেবে ঘোষণা করেন। ভ্যালেন্টাইন কারারক্ষীর যুবতী মেয়েকে ভালোবাসার কারণে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু পোপ গ্লসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ ঘোষণা করেননি।

কারণ, খ্রিষ্ট ধর্মে পুরোহিতদের জন্য বিয়ে করা বৈধ নয়। তাই পুরোহিত হয়ে মেয়ের প্রেমে আসক্তি খ্রিষ্ট ধর্মমতে অনৈতিক কাজ। তা ছাড়া, ভালোবাসার কারণে ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে যেতে হয়নি। কারণ, তিনি কারারক্ষীর মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন কারাগারে যাওয়ার পর।

সুতরাং, ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ ও মৃত্যুদণ্ডদানের সাথে ভালোবাসার কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাই ভ্যালেন্টাইনের কথিত ভালোবাসা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’র মূল বিষয় ছিল না। বরং ধর্মের প্রতি গভীর ভালোবাসাই তার মৃত্যুদণ্ডের কারণ ছিল।

যাই হোক, প্রচলিত এই কাহিনী কতটুকু সঠিক, সেটা আমরা জানি না। তবে এটুকু জানি যে, ভালোবাসা প্রকাশের জন্য কোন বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি দিন,ভালোবাসার দিন, ভালোবাসা প্রকাশের দিন। তবুও প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী আজকের এই দিনটি আমাদের কাছে একটু বিশেষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সবাইকে ‘ভালোবাসা দিবস’-এর শুভেচ্ছা। প্রত্যেকের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থাকুক, এই কামনা করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা

You cannot copy content of this page