মাগুরায় সাফ অনূর্ধ্ব ১৬ নারী ফুটবল দলের দুই সদস্যকে সংবর্ধনা
সাফ জয়ী অনূর্ধ্ব -১৬ জাতীয় নারী ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন অর্পিতা ও অন্যতম সদস্য উম্মে কুলসুমকে সংবর্ধনা দিয়েছে মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা প্রশাসন। আজ সোমবার দুপুরে মাগুরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ ‘দহলিজে’ জাতীয়ভাবে ক্রীড়ায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাদেরকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। অনুষ্ঠান থেকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গোয়ালদহ গ্রামের কৃতি কন্যা অর্পিতা বিশ্বাস ও উম্মে কুলসুমকে ফুলের তোড়া, ক্রেস্ট ও নগদ টাকা প্রদান করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক মোঃ আবু নাসের বেগ অর্পিতা ও কুলসুমের জাতীয় পর্যায়ে এ অর্জনের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একইসঙ্গে নিয়মিত নারী ফুটবলচর্চা কে উৎসাহিত করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। জেলা প্রশাসক বলেন -অর্পিতা ও কুলসুমসহ গোয়ালদহ গ্রামের নারী ফুটবলাররা আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন একাগ্রতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা মানুষকে সাফল্য এনে দেবেই। গ্রামের একটি ছোট্ট মাঠ থেকে তারা জাতীয় পরিচয় ব্যাপক অবদান রাখছেন। তাদের দেখে অন্যরাও ফুটবল তথা খেলাধুলায় অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব -১৬ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন অর্পিতা বিশ্বাস তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন – ফুটবলকে ভালোবেসে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রভাস রঞ্জন ও শহিদুল ইসলামের অনুপ্রেরণায় তিনি ফুটবল খেলা শুরু করেছেন। সেখান থেকে সবার সহযোগিতায় আজ তিনি বিকেএসপি হয়ে জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পালন করছেন। এজন্যে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। গোয়ালদহ গ্রামের ফুটবলকে এগিয়ে নিতে তিনি ওই গ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ ফুটবল মাঠ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
অপর সংবর্ধিত নারী ফুটবলার উম্মে কুলসুম জানান – দারিদ্র আর শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে তারা ফুটবল নিয়ে এখন দেশ-বিদেশে যাচ্ছেন। এতে ওই গ্রামের অন্যান্য মেয়েরা উৎসাহিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য মাগুরার এই প্রত্যন্ত গ্রামটি থেকে সম্প্রতি ১১ জন নারী ফুটবলার জাতীয় দল সহ বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া বিকেএসপিতে এই গ্রামেরই অন্তত ২৮ জন খেলোয়াড় নিয়মিত ফুটবল প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ।
You cannot copy content of this page