শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাগুরায় মসলা গবেষণা ইনস্টিটিউটে মসলা ও ডাল ফসলের দিনব্যাপী কর্মশালা আজ ৭ ডিসেম্বর, মাগুরা মুক্ত দিবস পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ছিল একটি ষড়যন্ত্র,চাকরিচ্যুতদের মাগুরায় মানববন্ধন মাগুরা জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের নির্বাহী কমিটি গঠন; আরও ভালো কাজ করার প্রত্যয় মধ্যরাতে আড়পাড়া মহাসড়কে সেনাবাহিনী,পুলিশ ও আনসারের তল্লাশি মাগুরায় দীর্ঘ ১৬ বছর পর ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন মাগুরা জেলার স্থবির ক্রীড়াঙ্গনকে গতিশীল করতে  করণীয় শির্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে গণমাধ্যম: সাংবাদিক মুক্তাদির রশিদ শ্রীপুর উপজেলা রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এর বার্ষিক শ্রমিক সমাবেশ ২০২৪ অনুষ্ঠিত মাগুরায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরীর পূজা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন

মাগুরার বড়রিয়ার অসাম্প্রদায়িক উৎসব শতবর্ষি ঘোড়দৌড় ও গ্রামীণ মেলা

মাগুরা মুহাম্মদপুর উপজেলার শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় ও গ্রামীণ মেলা উপলক্ষে লাখো মানুষের ভিড় জমেছে। প্রতি বছরে বাংলা ২৮ পৌষ এই মেলা ও ঘোড়দৌড় দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করে এখানে। ২ দিনের এ অসাম্প্রদায়িক উৎসবে বিভিন্ন ধরনের রাইড, খেলনা, মিষ্টি, ফার্নিচারের পাশাপাশি এ মেলায় মাছের বাজার বসে বিশাল এলাকা জুড়ে।

অষ্টাদশ শতকের শেষ ভাগে মাগুরার মোহাম্মদপুরের বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গ্রামে ঘোড়দৌড় পত্তন করেন এই গ্রামের সনু সরদার। সেই থেকে অন্তত ১৩৫ বছর ধরে এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ সামাজিক উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছে এই মেলা ও ঘোড়দৌড়। এখানে প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ জেলার ঘোড়া নিয়ে অংশ নিতে আসেন সওয়াররা।

ঘোড়দৌড় দেখতে ও মেলায় অংশ নিতে অধিকাংশ বাড়িতেই আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা নিজ বাড়িতে চলে আসেন। প্রতিটি বাড়িতে শুরু হয় উৎসবের আমেজ। ধর্ম বর্ণের বাইরে গিয়ে এ উৎসব হয়ে ওঠে অসাম্প্রদায়িক ও সার্বজনীন এক মহামিলন ক্ষেত্র। এবারের প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন অঞ্চলের ১৫টি ঘোড়া অংশ নেয়।

প্রতিবছরের মতো এবারও মনমুগ্ধকর খেলা, মিষ্টি, মাছ, মাংস, মনোহরি, পুতুল, নানা রকমের খেলনা, বিভিন্ন রাইডসহ পাঁচ শতাধিক দোকানে এসেছে। এসব দোকানে বেচাকেনা হয়েছে আশাতীত। এবছর পুরো মেলায় বিভিন্ন জেলার মানুষ ভিড় করে

বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়দৌড় ও মেলার আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রাম বাংলার মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হবে এমনটি আশা আয়োজকদের।

এ ধরনের অসাম্প্রদায়িক ও সার্বজনীন অনুষ্ঠান বারবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য নতুন রূপে ফিরে আসবে এমনটি আশা সকলের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা

You cannot copy content of this page