শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাগুরায় মসলা গবেষণা ইনস্টিটিউটে মসলা ও ডাল ফসলের দিনব্যাপী কর্মশালা আজ ৭ ডিসেম্বর, মাগুরা মুক্ত দিবস পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ছিল একটি ষড়যন্ত্র,চাকরিচ্যুতদের মাগুরায় মানববন্ধন মাগুরা জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের নির্বাহী কমিটি গঠন; আরও ভালো কাজ করার প্রত্যয় মধ্যরাতে আড়পাড়া মহাসড়কে সেনাবাহিনী,পুলিশ ও আনসারের তল্লাশি মাগুরায় দীর্ঘ ১৬ বছর পর ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন মাগুরা জেলার স্থবির ক্রীড়াঙ্গনকে গতিশীল করতে  করণীয় শির্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে গণমাধ্যম: সাংবাদিক মুক্তাদির রশিদ শ্রীপুর উপজেলা রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এর বার্ষিক শ্রমিক সমাবেশ ২০২৪ অনুষ্ঠিত মাগুরায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরীর পূজা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন

মাগুরায় সরকারি চিহ্নিত কিছু কর্মচারীর সম্পদের হিসাব দেখতে চায় সাধারন মানুষ

নিজস্ব প্রদিবেদক :

সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সিনিয়র সচিবের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়, ‘সকল সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এই ঘোষনার পর মাগুরায় শূরু হয়েছে সাধারন মানুষের মাঝে তোলপার। কারন মাগুরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু করে,বিআর টি এ,পাসপোর্ট অফিস,রেজিষ্ট্রেশন অফিস(রেজিস্রি অফিস) ও ভূমি অফিসের কিছু কর্মচারীর একক আধিপত্য নিয়ে সমালোচনা ছিল গত সরকারের আমলে। প্রতিবাদ করলে তাদের উপরে নেমে এসেছে নানান রকম হয়রানি।
বতমান সরকারের এ নির্দেশনায় সাধারন মানুষ যারা বিভিন্ন সময় ভোগান্তির শিকার,তারা মুখিয়ে আছে চিহ্নিত কিছু অফিসের ঘুষ,দুনির্তী ও জমি দখলের ব্যস্ত থাকা কিছু কমচারীরা কি হিসাব দাখিল করে। কারন তাদের ধারনা জ্ঞাত ও অজ্ঞাত বহু সম্পদের মালিক হয়ে গেছে গেল কয়েক বছর তারা ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব দপ্তরের কিছু কমচারীরা বলেন,নিয়ম না মেনে একজন বহু বছর একই পদে রয়েছেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে। এমনকি ঘুষের নানা রকম ফের চালু হয়ে আছে। যা কিছু দিন আগে প্রকাশ্যই ছিল। এখন এরা নিজেদের দোষ ঢাকতে বতমান রাজনৈতিক দলের আশ্রয় নিতে দেন দরবারে আছে। এসব তদন্ত করে দেখা উচিত এ সরকারের সহ রাজনৈতিক দলগুলোর। না হলে এ অনিয়ম থামবে না।আমরা তাদের সম্পদের হিসাব দেখতে চায় বলে তারা জানান।

উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারীদের প্রতি পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানেন না অনেকে। সরকারি চাকরির আচরণ বিধিমালার তোয়াক্কাই করেন না তারা। আর যাদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার কথা, সংশ্লিষ্ট সেই কর্তৃপক্ষও এক্ষেত্রে এতদিন বেশ উদাসীন ছিল। এ বিষয়ে সরকারি কর্মচারীদের আচরণবিধি ক্ষুণ্ন হলেও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। এ কারণে সম্পদের হিসাব দিতে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে তৈরি হয় চরম অনীহা।জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু করা হয়। জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’-এ এটি যুক্ত করা হয়। সেখানে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের প্রতি বছর সম্পদের হিসাব নিজ দপ্তরে জমা দিতে হবে।
তবে ২০০২ সালে ওই বিধিমালা সংশোধন করে এক বছরের পরিবর্তে প্রতি পাঁচ বছর পরপর কর্মচারীদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু করা হয়। কিন্তু চার দশক ধরে এ নিয়ম পুরোপুরি প্রতিপালন করা যায়নি। এ ইস্যুতে এবার নড়েচড়ে বসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা

You cannot copy content of this page